প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৩
স্কুলে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা -১
বাড়িতে যতই পড়ি, বিদ্যালয়ের মতো না
বাড়িতে যতই পড়ি বিদ্যালয়ের মতো পড়া হয় না। বিদ্যালয় খোলা থাকলে ক্লাশে পড়া দেবার চাপে বাড়িতে পড়তেই হয়। সেটা এখন আর হয় না। এভাবে বাড়িতে আর ভালো লাগে না। সারাক্ষণ মনটা ছটফট করে, কবে স্কুলে যেতে পারবো? কবে আবার ভালো করে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারবো? কবে বিদ্যালয়ে মাঠে খেলতে নামবো, কবে স্যারদেরকে দেখতে পাবো?
|আরো খবর
চাঁদপুর কন্ঠের বিশেষ আয়োজন " স্কুলে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা" শিরোনামে সাক্ষাৎকার পর্বে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান অয়ন।
রোকনুজ্জামান অয়ন বলেন, অনলাইনে ক্লাশ করি, অনলাইনে প্রাইভেট পড়ি কিন্তু বাস্তবতার মতো এতো মজা পাইনি। অনেক স্যারদের চেহারার কথা মনে নেই। স্যারেরা সামনাসামনি বসে যেভাবে পড়ান, পড়া আদায় করেন, না পারলে আবারো পড়া দিয়ে দেন, এগুলো থেকে প্রায় পৌনে ২ বছর বঞ্ছিত। সবাই ঘুরতে যায়, অফিসে যায়, বেড়াতে যায় কিন্তু আমরা বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি।
সবচে' মজার বিষয় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নতুন ড্রেস, স্কাউট ড্রেস, ৭ম শ্রেণীর নতুন ড্রেস, স্কাউট ড্রেস নতুন বানানো হয়েছে কিন্তু দুই মাস করে পড়তে পারিনি। সবগুলো ছোট হয়ে গেছে। এখন হয়তো বিদ্যালয় খুললে নতুন ড্রেস বানানো লাগবে। তবে স্কুল ব্যাগটা মা পলিথিনে মুড়িয়ে রাখায় ভালো আছে।
এ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ে রোকনুজ্জামান অয়ন বলে, ৭ম শ্রেণীতে এখন আমাদের দ্বাদশ এ্যাসাইনমেন্ট চলমান রয়েছে। জমা দেওয়া এ্যাসাইনমেন্টগুলোর ফলাফল কি জানতে পারিনি?